এম. জাকির হোসেন খান ::
ওয়াশিংটনভিত্তিক গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি’র (জিএফআই)-এর ১ মে ২০১৭ এ প্রকাশিত ‘ইলিসিট ফিন্যান্সিয়াল ফ্লোজ ফ্রম ডেভেলপিং কান্ট্রিজ: ২০০৫-১৪’ শীর্ষক উন্নয়নশীল দেশ থেকে অর্থ পাচার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন মতে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ১ হাজার কোটি (১০ বিলিয়ন) ডলার বা ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি ছাড়িয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৫ হাজার ৫৮৮ কোটি ডলার এবং শুধু ২০১৩ সালেই অবৈধভাবে বাংলাদেশের বাইরে চলে গেছে ৯৬৬ কোটি ডলারের বেশি। দেশের প্রধান রফতানি খাত বস্ত্র ও পোশাক খাতের বাইরে অন্যান্য রফতানি পণ্যের সম্মিলিত আকারের চেয়ে বেশি অর্থ অবৈধভাবে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে, যার অধিকাংশই দুর্নীতি এবং কর ফাঁকির মাধ্যমে অর্জিত এ অর্থ আমদানি-রফতানি চালানে জালিয়াতি বা অস্বচ্ছ ব্যবসায়িক লেনদেনের মাধ্যমে পাঁচার হচ্ছে বলে জিএফআই প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এর আগে ২০১৪ এর ২০ জুন তারিখে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) এর ‘‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড ২০১৩” প্রতিবেদনের বরাতে ২০১২ এর তুলনায় ৬২ শতাংশ বেড়ে সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের ৩,১৬২.৭২ কোটি টাকা গচ্ছিত থাকার সংবাদ প্রকাশ করে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, গত দুই বছরে কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় এগুলোর মধ্যে পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার হলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই বন্ড সুবিধার অপব্যবহার আইনে মামলা করা হয়েছে। মূলত: অর্থ পাচারের ঘটনায় এনবিআরের মামলার সুযোগ না থাকায় এমনটি হয়েছে। তবে সম্প্রতি অর্থ পাচারের অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা করেছে এনবিআর; তবে চূড়ান্তভাবে প্রকৃত দোষীরা চিহ্নিত হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সংশোধিত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১৫ সংসদে পাশ হয়, যার আওতায় এনবিআরকে চোরাচালান ও শুল্ক সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানি লন্ডারিং অপরাধের তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলেও অনুমোদনের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে না দেয়ার ফলে এ সংক্রান্ত অপরাধের অধিকাংশ ঘটনায় অর্থ পাচারের পরিবর্তে রাজস্ব ফাঁকির মামলায় ঝুঁকছে এনবিআর” (বণিকবার্তা, ২০১৭)। আন্তর্জাতিক সংস্থা এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি)’র মতে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে আইন করলেও তদন্তের দুর্বলতার কারণেই বাংলাদেশে অর্থ পাচার রোধে সাফল্য কম।
এপিজি গত অক্টোবরে প্রকাশিত ‘অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কাউন্টার টেরোরিস্ট ফিন্যান্সিং মেজারস ইন বাংলাদেশ মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশন রিপোর্ট-২০১৬’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অর্থ পাচার-সংক্রান্ত ৪০০ টি অভিযোগ জমা পড়লেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চূড়ান্তভাবে দুদক ৪৩টি মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগে ২১৪ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। কিন্তু বিচার শেষে সাজা হয়েছে মাত্র ৪ জনের, যা প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত মোট অভিযোগের মাত্র ১ শতাংশ। প্রাথমিকভাবে ১৪০ কোটি ডলার বা ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা পাঁচারের অভিযোগে ৭৬টি অভিযোগের বিপরীতে ২৮৪টি এজাহার দায়ের করা হয় । অর্থ পাচার রোধে কমপ্লায়েন্সের মাত্রা মূল্যায়ন, কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ, গবেষণা, বৈশ্বিক নীতি উন্নয়ন এবং বেসরকারি খাতকে অর্থ পাঁচার সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ৪১টি সদস্য দেশের সমন্বয়ে গঠিত এপিজি’র সদস্য বাংলাদেশও। এ প্রেক্ষিতে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ মনে করেন, ‘‘অর্থ পাচার সবচেয়ে বেশি হয় মূল্য ঘোষণার মাধ্যমেই। এ বিষয়ে এনবিআরকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হলেও পর্যাপ্ত জনবল ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এখনো এনবিআরের গড়ে ওঠেনি। ট্রান্সফার প্রাইসিং সেলসহ এনবিআরের কিছু উইং কাজ করলেও এখনো দৃশ্যমান কিছু দেখা যায়নি। অর্থ পাচার প্রতিরোধে শক্তিশালী আইনও দরকার”।
যদিও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মনে করে, এখনো আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত না করায় পরিপূর্ণভাবে অর্থ পাচারের ঘটনা তদন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না তবে, বাস্তবে এটা কতখানি নির্ভরযোগ্য তা প্রশ্নসাপেক্ষ। কারণ তদন্তের সাথে কারিগরি সক্ষমতা এবং তদন্তে নিয়োজিতদের সততা জড়িত। যদি তদন্ত সঠিকভাবেই হয়ে থাকবে তবে, কেন দুদক অভিযুক্তদের মাত্র ১ শতাংশের সাজা নিশ্চিত করতে সক্ষম হলো। আর যদি প্রযুক্তি জ্ঞান কমই থাকে তবে জোহা’র ন্যায় বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিয়ে যেভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিতে জড়িতদের যেভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে, ঠিক একইভাবে অন্যগুলোর ক্ষেত্রে সম্ভব নয় কেন? একই সিআইডি যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮৫০ কোটি টাকা পাঁচারে জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারে; তবে, তাহলে অন্যগুলো কেন পারছেনা? তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন হলো, ২০০৯ সাল থেকে অর্থ পাঁচার আশংকাজনক হারে বাড়লেও কি কারণে বা কার স্বার্থে আইনটি শক্তিশালী করা হয়নি বা এনবিআর কে যথাযথ ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি? অর্থ পাঁচারের সব সুযোগ রেখে পাঁচার করার পর যদি তা উদ্ধারে চেষ্টা করা হয়, তাহলে এটা অনেকটা ডাক্তার আসার আগেই রোগী মারা যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
এপিজি’র মতে, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উল্লেখযোগ্য হারে অর্থ পাচারের ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও ঝুঁকির বিষয়টি ওয়াকিবহাল। এজন্য ন্যাশনাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট (এনআরএ) ও সেক্টরাল (খাতভিত্তিক) রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে জাতীয় কৌশল নির্ধারণের মাধ্যমে কার্যকরভাবে অপ্রতিরোধ্য অর্থ পাঁচার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকলেও কেন কি কারণে সরকার তা করছেনা, তা বোধগম্য নয়। উল্লেখ্য, ২০১৫ এর অক্টোবরে এপিজির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে এসে অর্থমন্ত্রীকে সরকারি কেনাকাটায় দুর্বলতা, স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধ, রাষ্টায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় দুর্বলতার পাশাপাশি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন-সংক্রান্ত বিষয় তদন্তে দুদকের শিথিলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। অর্থমন্ত্রী ওই সময় এসব ঘাটতির বিষয়ে জোর দেয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে যে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি তা সর্বশেষ জিএফআই’র প্রতিবেদনে স্পষ্ট। এরও আগে ২০১১ সালের পর ১০ জুন অর্থমন্ত্রী বাড়তি টাকার উৎস যে অবৈধ তা উল্লেখ করতে গিয়ে বাংলাদেশে কালো টাকার আকার জিডিপির সর্বনি¤œ ৪৮ শতাংশ হতে সর্বোচ্চ ৮২ শতাংশ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
২০০৬ এবং ২০০৭ সালে অর্থ পাঁচার বাড়লেও ২০১১ সাল পর্যন্ত এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও ২০১২ সাল হতে এর পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং ২০১১ এর তুলনায় ২০১৪ সালে ৫ গুণের বেশি কালো অর্থ বাংলাদেশ হতে বিভিন্ন দেশে পাঁচার হয়। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের মূদ্রানীতি অনুযায়ী ৫ হাজার ডলার বেশি অর্থ পাঠানো যায় না। চিকিৎসা বা শিক্ষা ব্যয়ের জন্য বিদেশে টাকা পাঠাতে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আরেকটি চক্র বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রবাসীদের রেমিটেন্স সংগ্রহ করে তা বিদেশেই রেখে দিয়ে দেশে টাকায় দায় শোধ করা হয়; তেমনি বিদেশ হতে আমদানির ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করায় প্রায় ৪০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছেনা, যেগুলো কোন না কোন বিদেশি ব্যাংকে জমা হচ্ছে।
দেশের গোটা ব্যাংকিং খাতের মোট সম্পদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করলেও এর বিপরীতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর নন-পারফর্মিং লোনের হার ১১ শতাংশ, উন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রে এ হার কোনোভাবেই ৪ শতাংশের বেশি নয়। এর প্রধান কারণ ক্ষমতাবানদের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা। শেয়ার বাজার, সোনালি ও বেসিক ব্যাংকসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়াত্ব এবং বেসরকারি ব্যাংক হতে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ সহ বিভিন্ন কোম্পানি ক্ষমতাবানদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহায়তায় জালিয়াতির মাধ্যমে ৩০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করলেও শুধু সরকার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অভিযুক্তদের কেউই বিচারের আওতায় আসছেনা বলে জানিয়েছেন ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞ খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ। সরকারি-বেসরকারি খাতের সাত ব্যাংকের (সোনালী, রূপালী, বেসিক, কৃষি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন, বাংলাদেশ কমার্স ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক) ব্যাংকগুলো নিজের মূলধন তো হারিয়েছেই, উপরন্তু সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতিতে পড়ায় ব্যবসার পরিবর্তে এসব ব্যাংক মূলধন জোগান নিয়েই চিন্তিত। আর্থিক খাতে জালিয়াতির এ ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ৮কোটি ১০ লাখ ডলারের ওপর রিজার্ভ চুরির মতো অচিন্তনীয় ঘটনা ঘটে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট গঠনের পর অবৈধভাবে কিভাবে দেশের বাইরে অর্থ পাঁচার হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। ব্যাংকিং খাতে অপ্রতিরোধ্য দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘নিজেদের দলীয় লোকের সমর্থনের কারণে সোনালী ও বেসিক ব্যাংকে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না”।
পৃথিবী জুড়ে তুমুলভাবে ঝড় তোলা পানামা পেপারসে’র মাধ্যমে বৈধ-অবৈধ পথে বিদেশে অর্থ পাঁচারের যে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর সকল মানুষের সামনে প্রকাশ পায় কিভাবে স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর রাজনীতিক এবং ক্ষমতাবানরা অবৈধ পথে উপার্জিত বিত্ত বৈভব উন্নত দেশগুলোতে পাঁচার করছে। শুধু তাই নয়, ভারত, আমেরিকা, দুবাই, বেলারুশ, রাশিয়া, ব্যাংকক এবং সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন ব্যাংকে, এবং মালয়েশিয়ায় ব্যবসায় বিনিয়োগের নামে বা ‘সেকেন্ড হোম’-এর মাধ্যমে প্রকৃত কি পরিমাণ অর্থ পাঁচার করা হয়েছে তার প্রকৃত হিসাব রাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বার্থে জানা জরুরি। একের পর এক রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাতের ধারাবাহিক কেলেঙ্কারির চাপা পড়ে যাচ্ছে। এ সুযোগে, বাংলাদেশ থেকে আরো কম করহার ও কম আইনি জটিলতার দেশে আইন এবং বাণিজ্য ব্যবস্থাপর ফাঁক গলে মূলধন পাচার হয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো দুদক, এনবিআর বা বাংলাদেশ ব্যাংকের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাঁচার হলো?
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ১৬.৪ এর আওতায় রাষ্ট্রসমূহ ঐক্যমতে উপনীত হয় যে, ২০৩০ এর মধ্যে তারা সন্দেহজনক বা কালো অর্থের পাচার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমাতে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি চুরিকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধার এবং ফেরত আনার কাজও শক্তিশালী করবে; একইসাথে সব ধরনের সংগঠিত অপরাধ রোধ করবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইন মন্ত্রণালয়/এটর্নি জেনারেলের অফিসের সমন্বয়ে পাঁচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই।